সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu

হামলার ‘চরম মূল্য’ দিতে হবে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যকে

report
ফাইল ছবিঃ



ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের অবস্থান লক্ষ্য করে দেশটিতে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। হুতি যোদ্ধাদের পক্ষ থেকে এ ‘অভিযানের’ কথা নিশ্চিত করে এই হামলার জবাবে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে হুতি বিদ্রোহীরা।




বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়েমেনে হুতিদের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুসেইন আল-ইজি বলেছেন, এই হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যকে চরম মূল্য দিতে হবে। ইয়েমেনের টিভি চ্যানেল আল-মাসিরাহ তাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যকে এই ‘নির্লজ্জ আগ্রাসনের’ জন্য ‘চরম মূল্য’ দিতে হবে।

হুতি কর্মকর্তা আব্দুল কাদের আল-মোর্তাদা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক্স-এ জানিয়েছে, ইয়েমেনজুড়ে হামলা চালানো হয়েছে। রাজধানী সানা, হুদায়দাহ গভর্নরেট, সাদা ও ধামারে বেশ কয়েকটি হামলা হয়েছে। হুতিদের লোহিত সাগর বন্দরের শক্ত ঘাঁটি হুদায়দাতে হামলা করা হয়েছে।

বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে, হুথিদের ব্যবহৃত সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য দুই দেশের সেনারা। এপি আরও জানিয়েছে, হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে তোমাহোক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। যেগুলো জাহাজ থেকে ছোড়া হচ্ছে। এছাড়া যুদ্ধবিমানও ব্যবহার করা হয়েছে।

গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের পর ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে সম্প্রতি যেসব হামলা চালিয়ে আসছে তার জবাবে হুতিদের লক্ষ্য করে সরাসরি হামলা চালালো দেশ দুটির সেনাবাহিনী। রাজধানী সানার হুদাইদাহে হুতি লোহিত সাগর বন্দর, ধামার ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে হুতিদের শক্ত ঘাঁটিতে হামলার খবর পাওয়া গেছে।

দুই মাস ধরে লোহিত সাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট ও ইসরায়েলগামী জাহাজে অব্যাহতভাবে হামলা চালিয়ে আসছে ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যুদ্ধজাহাজ লক্ষ্য করে ২০টি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে হুথিরা। এরপরই এ হামলার জবাব দেওয়ার হুমকি দেয় যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য। তবে হুথিদের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয়— তাদের এ হামলার পাল্টা হামলার জবাব দেবে তারা।

এসব টানা হামলা চালানোর পর এখন হুথিদের লক্ষ্য করে সরাসরি হামলা চালিয়েছে ব্রিটিশ ও মার্কিনি সেনারা। হামলায় হুথিদের অস্ত্র ভাণ্ডার, কমান্ড সেন্টারসহ বিভিন্ন অবকাঠামো লক্ষ্য করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এক মার্কিন কর্মকর্তা। 



শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.