ফাইল ছবিঃ |
যুক্তরাজ্যের হুঁশিয়ারির কিছুক্ষণ পরই ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের অবস্থান লক্ষ্য করে ইয়েমেনে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বার্তাসংস্থা এপি কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের চার কর্মকর্তা।
দুই মাস ধরে লোহিত সাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট ও ইসরায়েলগামী জাহাজে অব্যাহতভাবে হামলা চালিয়ে আসছে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা। এসব টানা হামলা চালানোর পর এখন হুতিদের লক্ষ্য করে সরাসরি হামলা চালালো ব্রিটিশ ও মার্কিনী সেনারা।
জানা গেছে, হামলায় তোমাহোক যুদ্ধ জাহাজ থেকে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছে। ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি এ আক্রমণে যুদ্ধবিমানও ব্যবহার করা হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, যে স্থাপনাগুলো ব্যবহার করে হুতি বিদ্রোহীরা বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জলপথে জাহাজে হামলা চালাচ্ছে, ইয়েমেনে হুতিদের সেসব স্থাপনাকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, ইউএস এবং ব্রিটিশ সামরিক বাহিনী বৃহস্পতিবার ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হুথিদের দ্বারা ব্যবহৃত এক ডজনেরও বেশি সাইটে বোমাবর্ষণ করেছে। যুদ্ধজাহাজ এবং সাবমেরিন-চালিত টমাহক মিসাইল এবং যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ব্যাপক প্রতিশোধমূলক এ হামলা চালানো হয়। তারা বলছে, সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে লজিস্টিক্যাল হাব, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং অস্ত্র স্টোরেজ এবং উৎক্ষেপণের স্থান অন্তর্ভুক্ত ছিল।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল এটা দেখানো যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা লোহিত সাগরে জঙ্গি গোষ্ঠীর অবিরাম আক্রমণকে 'সহ্য করবে না'।
তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা কূটনৈতিক আলোচনার প্রচেষ্টা এবং সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করার পরেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা এবং নেদারল্যান্ড একত্রে হামলা পরিচালনা করছে।
এদিকে হুতিদের পক্ষ থেকেও হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। হুতি কর্মকর্তারা জানান, ইয়েমেনের রাজধানী সানা, সাদা, ধামার শহরে হামলা হয়েছে। একজন হুতি কর্মকর্তা বলেন, এ হামলায় ইয়েমেনের রাজধানী সানাসহ পুরো ইয়েমেন জুড়ে হামলা চলছে।