সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu

৩৮ লাখ টন জ্বালানি তেল, এক লাখ টন সার কিনছে সরকার

সোনার বাংলা ২৪









২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চাহিদা পূরণে ৩৮ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৫ নভেম্বর) অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।

পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এক লাখ টন সার, টিসিবির জন্য ২৭ হাজার টন মসুর ডাল ও ৫০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনাসহ ১৭টি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ১ হাজার ৬৫৯ কোটি টাকা দরকার হবে।

দুটি সভায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের কাছে এসব তথ্য তুলে ধরেন।

জ্বালানি তেল আমদানির মধ্যে রয়েছে- গ্যাস অয়েল ২৩ টন, জেটওয়েল পৌনে চার লাখ টন, মোগ্যাস ২.৭৫ লাখ টন, ফার্নেস অয়েল ৭.৫০ লাখ টন, মেরিন ফুয়েল ৬০ হাজার টন।

ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) থেকে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনার সিদ্ধান্ত হয়। এতে ১২৬ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এ ছাড়া সৌদি আরব থেকে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানি করা হবে। এতে ১২৬ কোটি টাকা ব্যয় হবে।

পৃথক প্রস্তাবে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় মরক্কো থেকে ৩০ হাজার টন টিএসপি এবং ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে প্রায় ৩৮৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এছাড়া ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) স্থানীয়ভাবে ১৭ হাজার টন মসুর ডাল কিনবে। এতে প্রায় ১৭১ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এর বাইরে ৫০ কেজির বস্তার ওজনে ১০ হাজার টন মসুর ডাল আমদানি করা হবে। প্রতি কেজির মূল্য পড়বে ১০২ টাকা। এতে ৯৭ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এছাড়া সিটি এডিবঅয়েল থেকে ৫০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে প্রতিষ্ঠানটি। এক্ষেত্রে ৭৭ কোটি টাকা ব্যয় হবে।

এ ছাড়া ‘বৈঠকে বরিশাল-ভোলা-লক্ষ্মীপুর জাতীয় মহাসড়কের বরিশাল (চর কাউনিয়া) থেকে ভোলা (ইলিশা ফেরিঘাট) হয়ে লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত যথাযথ মান ও প্রস্থ উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের প্যাকেজ ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে অতিরিক্ত প্রায় ৩৩ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এছাড়া ‘ঢাকা স্যানিটেশন ইমপ্রুভমেন্ট’ প্রকল্পের প্যাকেজ পূর্ত কাজ প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে। এতে ৫৫৪ কোটি টাকা ব্যয় হবে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লি. কর্তৃক ‘কৈলাশটিলা ৮নং কূপ (অনুসন্ধান কূপ) খনন’ ড্রিলিং সার্ভিসের জন্য ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে। এতে ৩ কোটি ৭৮ লাখ প্রয়োজন হবে। এ ছাড়া সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লি. কর্তৃক ‘কৈলাশটিলা ৮নং কূপ (অনুসন্ধান কূপ) খনন’ প্রকল্পের আওতায় কূপ খনন অপারেশন এবং তৃতীয়পক্ষীয় প্রকৌশল সেবা ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে। এতে প্রায় ৮১ কোটি টাকা ব্যয় হবে

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.